হঠাৎ আলো - অচিন আগন্তুক
দার্জিলিং, ভোর ৫ টা,
কুয়াশাঘেরা প্রসস্থ পাহাড়ি পথ।
গাছে ঢাকা বাঁকা রাস্তায় কবিতা যেন থেমে;
এক নিঃসঙ্গ বেঞ্চে শিশিরকনা একাকী।
সূর্যের প্রথম আলোয়,
শুভ্র স্নাত মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন;
সত্যজিতের কলমের অপেক্ষায়।
পাইনের পাতার আড়াল ছুঁয়ে,
আলোক আলপনা এঁকে চলেছে ভেজা রাস্তায়;
সেই মোহনার ক্ষণে প্রথম দেখা, তোমায়।
সাতরঙা আবরণে চশমার আড়াল খুঁজে,
রেলিংয়ের বিচরণ আর বুকভরা নিঃশ্বাস।
একা পথে বয়ে চলে একাকী অনুরণন,
তোমার অপলক আড়চোখের আচরণে;
ভেসে বেড়ায় আমার সিগারেটের দীর্ঘশ্বাস।
তাকিয়ে থেকে বুঝে নিতে চাওয়া,
ভেঙে ফেলার তাড়নায় বিষাক্ত বলয়;
এক চা ওলা, আছিলায় প্রথম চিন্তা,
'চা খাবেন নাকি?'
হয়ে যাক দুই ভাঁড়ে প্রথম আলাপ।
সময়ের বলয়ে শেষ হয় বিস্তর কথা,
কাঞ্চনজঙ্ঘা সাক্ষী থেকে হয় ক্লান্ত;
মেঘ ঢাকে অস্তিত্বের সঙ্কট।
হঠাৎ মুঠোফোনের ফরমান -
শুরুর পথে বৃষ্টি আসুক তোমার হৃদয়ে,
'আজ আসি, পরে যদি দেখা হয় কখনও..' -
শেষ হলো না শেষের কথা।
বাবার ডাকে পাহাড়পথের বাঁকে;
যতদূর চোখ যায়, ফেরারি অনুসন্ধান।
ইলসেগুড়ি বৃষ্টি ভেজায় দুই চোখ,
পাহাড় তখন জেগে উঠছে প্রয়োজনে;
শুধু ধোঁয়ায় ঢেকে ঈষৎ শুভ্র স্বপ্ন -
আর, আর কি দেখা হবে? প্রশ্নে;
ভেসে বেড়ায় আমার সিগারেটের দীর্ঘশ্বাস।