চিঠি - সুব্রত
সুচরিতাসু, আশা করি সব কুশল।
সাতদিন হল শহরে ফিরেছি। সামনের ফাল্গুনে তোমার বাড়ীতে যাব।
মনে আছে তোমার বিবরন, মনে পড়ে তোমার উদ্বেগ। গ্রাম রূপ-সনাতনপুর। বেশী দূর নয়। আমার শহর থেকে ঘন্টা চার। ছোট্ট সুন্দর প্লাটফর্ম। শাল-পাইনের বন। নুড়ি বিছানো পথ, নির্জন। তোমারি মতো। স্টেশন ছাড়িয়ে পথ চলে গেছে কোন অচেনায়। মনে পড়ে সরস্বতী পূজোর সকাল। বসন্তের বাসন্তিকায় সাইকেলে বহুদূর। মাঠ-ঘাট পেরিয়ে নদীর পাড়। পুরুষ ও প্রকৃতির প্রথম প্রেম। সবুজ ঘাসে অনেক কথা বলা।
মনে পড়ে ডাকবাংলোর মাঠ। গা ছমছম অন্ধকারে টিউশান শেষে ফেরার পথেবিপথে হারিয়ে যাওয়া। ঝুলন পূ্র্ণিমায় লালনীল মাছ খুঁজতে বৃষ্টি আমাকে খায়, যেখানে গাছ ঝুঁকে আছে। শিউলির গন্ধে থমকে থাকে সময়। প্রথম বাঁকের শেষে তোমার ঘর। ছবির মতো লাউডগা খেলা করে চালের উপর। সামনে পরিত্যক্ত পুকুর । ফসিলের মতো কচুরিপানার ঝাড়, ডুব দিতে ইচ্ছা করে স্মৃতির দীঘিতে। ফটো অ্যালবামে কত পরিচিত মুখ। আমকুশী, হজমীগুলীর সাথে খেলা করে শৈশব। আমার মননে ফিরে এস তুমি।
ভালো থেকো। ইতি.......
